সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মায়ের ভাষা- কবি আরিফ হাসান


মায়ের ভাষা
মোঃ আরিফ হাসান।
-----------------------------------
একুশ আমার অহংকার,
একুশ, তুমি এলেই প্রতিটি বাঙ্গালীর প্রাণে
তে জেগে ওঠে দুর্বার।

আমার ভাষা, বাংলা ভাষার জন্যই, কতো ভাই দিয়ে গেছে প্রাণ
সালাম রফিক বরকত আরো জব্বার, একুশ এলেই
প্রানেতে বেজেওঠে দুর্বার।

ভাষা শহীদ,
তোমরাই বাংলা ভাষার দামাল
ভাষার জন্যই সংগ্রাম করে আছো,
ইতিহাসে অম্লান।

ভাষা শহীদ,
তোমরা নিজেদের রক্তদিয়ে
 বাংলা ভাষা করেছ অর্জন,
তোমরাই, প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়ের দর্পণ।

ভাষা শহীদ,
তোমাদের ত্যাগের জন্যই আজ আমি,বাংলা ভাষায় লিখি,
ওগো মা, আমার বাংলা মা
তোমায় ভালোবাসি।

আমি বাঙ্গালী, তোমাদের জন্যই আজ আমি গল্প কবিতা, বাংলা ভাষায় লিখি,
ইতিহাস খুলেই স্বর্ণ অক্ষরে, তোমাদের নাম গুলি দেখি।

আমার গর্ব, আমি জন্মেছি এই বাংলায়,বাংলা ভাষাকে বিকৃত করে চলছে  কিছু কামলায়।

এজন্যই কি ছিনিয়ে এনেছিল? বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীন বাংলা ভাষা?
হাজার ভাষার ভিড়ে তুমিই শ্রেষ্ঠ, আমার মায়ের ভাষা।

সালাম রফিক বরকত জব্বার তোমাদের ত্যাগের কথাবলে,
শেষ নাহি হবার।

সোনার বাংলা তোমায় ভালোবাসি"
ওগোমা, তোমার কোলেতেই যেন,বার বার ফিরে আসি।

বলে দাও মা-নাছির উদদীন পুটিবিলা


# বলে দাও মা #
নাছির উদদীন পুটিবিলা

সুখে নেই মা, সুখে নেই আজ
তোমার ছেলের মন,
মাদার" বলে তোমাকে ডাকে
শহরে নানান জন।
\
প্রাণের মূল্যে কিনে নিয়েছি
তোমার মুখের ভাষা,
সেই ভাষাতে ডাকিবেনা মা
এমন ছিলনা আশা।
\
তোমার ছেলে প্রাণ দিয়েছে
তোমার ভাষার জন্য,
তাই বলে আজ বিশ্ববাসী
ভাষা দিবস করে গণ্য।
\
ওরা কি জানেনা বায়ান্নতে
দিয়েছি মোদের প্রাণ,
তোমার ভাষা রক্ষার জন্য
জীবন করেছি দান।
\
বলে দাও মা তোমার ছেলেদের
মা ডাকিবার জন্য,
সুমধুর ডাকে ভাষা শহীদের
মরণ হবে ধন্য।

মা কে উপহার-বি.কে হাজারী


মা কে উপহার
    বি,কে, হাজারী
----------------------------
মাগো,তুমি কাঁদছো কেন?
বুলেটের নিষ্ঠুরতা,তোমার সন্তানের বুক ছিদ্র করলো বলে?
মাগো! তুমি কাঁদছো কেন?
সালাম,বরকত,রফিক,শফিক সবাইকে হারালে বলে?
মা তুমি কাঁদছো কেন?
ভাবছো বুঝি, তোমার স্বাধীনতা ছিনিয়ে অানবে কারা?
মা,তুমি যে লক্ষ সন্তানের জননী,
তুমি যে বীরসন্তানের সাহসী জননী
মা, তোমার স্বার্থকতা তো সেখানেই
লক্ষ লক্ষ বীর সেনানির মা হয়ে।।
মা, তুমি ভেঙ্গে পড়ো না,
অামরা তোমার মুক্তিকামী সাহসী যোদ্ধা,
তোমার স্বাধীনতা,ভাষার অধিকার ছিনিয়ে অানবই।
তুমি দেখবে মা
 তোমার দামাল ছেলেরা তোমাকে মুক্ত করবেই।
মা তুমি ভেবো না
৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর তোমার জন্মদিনে উপহার হবে লাল সবুজের পতাকা
অার স্বাধীনদেশের বাংলাভাষা।
মা,মাগো! এবার তুমি নিরবে,প্রশান্তিতে একটু ঘুমাও,
অার দেখো সে উন্নয়নের সোনারবাংলার স্বপ্ন।।

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মননশীলতার কবি আরিফ হাসানের কবিতা- আমি নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায়


আমি নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায়
মোঃ আরিফ হাসান।

আমি নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায়,
তুমি খুজে পাবে আমায়
তোমার উপলব্ধিতায়।

আমায় তুমি কখনই বুঝনি,
নিজের মতো করে খোজনি
হৃদয়ের কষ্ট কেন?
বুঝিতে চেস্টাও তুমি করনি।

কেন এই নিঃসঙ্গতা,
কখনই বোঝনি আমার হৃদয়ের ব্যাথা,

অসহায় মানুষের মতই প্রতিনিয়ত ছুটে চলা,
তবুও কাম্য বেচে থাকে যেন মোর পায়ের তলা।

তুমি ভেঙ্গে দিয়েছ মোর বিশ্বাস,
কেড়ে নিয়েছ আমার জীবনের উচ্ছ্বাস,
তাই আজ বন্ধ হবার উপক্রম আমার নিশ্বাস।

হেটে চলার পথে লোকে আমায় বলে ভাল মন্দ, তাতে কিচ্ছু মনে করিনা খুজে বেড়াই শুধু,
তোমার স্নিগ্ধ মাখা, পাগল করা সেই গন্ধ।

আমি উন্মাদ আমি পাগল শুধু তোমারই জন্য,
একবার দিও দেখা, করিও আমায় ধন্য।

আজ আমার হিয়ার মাঝে,
বিনা তারে সেই সুর বাজে
তুমি আসবে ইহকাল অথবা পরকালে।

আমি সেই অপেক্ষায়,
বসে আছি তোমাকে পাবার প্রতিক্ষায়,
তুমি আসবে,সত্যিই তুমি কি আসবে??

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

The history of Valentines Day


By B.K

The history of Valentines Day.
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খ্রিষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন।
কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্য খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।
বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন।
খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে।
যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।
দিন কিংবা দিবসের শেষ নাই।  ভ্যালেন্টাইন  কোন ভালবাসার বহি:প্রকাশ ছিল আর আমরা সেটা কি বানাইলাম।  ভালবাসা সর্বস্তর সেটা বুঝায়।  আর আমরা বলপেন যুগের মানুষ কি বুঝেছি।

রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

একনজরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার





একনজরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার
অ- অ অ+
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

ছাত্র জীবনেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হন। যদিও সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে রাখেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদে সব সময় সরব এ সংসদ সদস্য একজন অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।

ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) পিকিং ও মস্কো ধারায় দুই টুকরা হলে মাওলানা ভাসানীকে ত্যাগ করে সুরঞ্জিত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন অংশে যোগ দেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে ন্যাপ থেকে জয়ী হয়ে দেশবাসীকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। পরে ন্যাপের ভাঙনের পর গণতন্ত্রী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১- এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন।

পঞ্চম সংসদের সদস্য থাকাকালেই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্রথমে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত ভোটে হেরে গেলেও পরে হবিগঞ্জের একটি আসনে উপ-নির্বাচন করে তিনি বিজয়ী হন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন তিনি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন। দলীয় মনোনয়নে এমপি হলেও ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্য চার জন সিনিয়র নেতার সঙ্গে সুরঞ্জিতও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদটি হারান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সুরঞ্জিতকে আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। পরে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুরঞ্জিত। কিন্তু ব্যক্তিগত সহকারীর দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পরের বছর (২০১২) ১৬ এপ্রিল মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে তার মন্ত্রীসভায় রেখে দেন।

এ সময় নির্দোষ প্রমাণিত না হলে সক্রিয় রাজনীতি করবেন না বলে সুরঞ্জিত ঘোষণা দেন। এপিএস’র অর্থ কেলেঙ্কারীর ঘটনা তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সুরঞ্জিত সেনকে নির্দোষ ঘোষণা করলে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলন তিনি পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে তিনি আবারও আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার ফুসফুসের সমস্যার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রবিবার ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন৷

শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

তামাকের গ্রাসে কৃষি ও পরিবেশ




মুক্তমত
:বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে তামাক চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে জোরদার আন্দোলনে চালিয়ে আসলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর এ বিষয়ে উদ্যোগ এখনো সমন্বিত ও আশানুরূপ নয়। তবে সম্প্রতি বান্দরবন জেলা জজ কোর্টের একটি রায়ে অত্র এলাকায় তামাক চাষ ১০০০ একরের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, এটা একটি মাইল ফলক। সীমিত ভূখণ্ডের জনবহুল এদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, না কি তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করতে দেয়া হবে এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের দ্রুত পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি বা অবস্থান দেশের কৃষি জমি ধ্বংস, খাদ্য সংকট, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সমস্যার মতো বিষয়গুলোকে প্রকট করে তুলবে।

আমাদের আবাদী জমির পরিমাণ খুবই সীমিত। তথাপিও সড়ক নির্মাণ, শিল্প স্থাপন, ঘরবাড়ি নির্মাণ, নদী ভাঙ্গন সহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশে কৃষি জমি ১ শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। এদেশে ১৯৭১ সালে আবাদী জমির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৭ হেক্টর। ১৯৮৬ সালে কমে দাড়ায় ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর এবং ২০০৩ সালে কমে দাড়ায় ৭০ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে। এমতাবস্থায় তামাক কোম্পানিগুলোর প্ররোচনার কারণে তামাক চাষ আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাদ্য ভান্ডারের জমি দখল করে নিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭৪০০০ হেক্টর জমিতে তামাক হচ্ছে। বিগত ২ বছরে তামাক চাষ প্রায় ৬৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলের খাদ্যভান্ডার বলে পরিচিত চলনবিল এখন দখল করে নিচ্ছে তামাক চাষ। পাবর্ত্য এলাকায় এ বিষের ছোঁয়া ব্যাপক।

তামাকের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫৭০০০ হাজার লোক মারা যাচ্ছে এবং ৩৮২০০০ লোক পঙ্গুত্ব বরণ করছে। এছাড়াও তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা খরচ বাবদ বরাদ্দ রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির পরিমান ১১,০০০ কোটি টাকা। তার উপর বাংলাদেশে ২৫ ভাগ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। সারাদেশের অতিদরিদ্র মানুষ প্রধান খাদ্য চাল ক্রয়ে তাদের আয়ের ৭৬ ভাগ ব্যয় করে এবং শতকরা ৫৮ ভাগ পরিবার পর্যাপ্ত খাদ্য ক্রয় করতে পারে না। অপুষ্টিতে শিশু মৃত্যুর পরিমাণ প্রতিদিন ৯০০ জন। আর এসব অবস্থা বিবেচনা করে সরকারের তামাক চাষ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এধরনের বাস্তবতার পরও খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করে কিছু ব্যক্তিবর্গ তামাক কোম্পানির সাথে সুর মিলিয়ে তামাক চাষের স্বপক্ষে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে থাকেন।

তামাক চাষ শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, এই বিষবৃক্ষ চাষ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপনন সকল ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত করছে জনসাধারণকে। তামাক এমন একটি ফসল যা চাষের কারণে জমির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং এই জমিতে একসময় কোন ফসল ফলানো যায় না। তামাকের কারণে ৩টি মৌসুমের ফসলের ক্ষতি হয়। কারণ জমি তৈরি, বীজ বপন, পরিচর্যা, পাতা তোলা, গোড়া তোলা ইত্যাদি কারণে তামাক চাষের সময়কাল অক্টোরব থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৮ মাস। চাষীদের বক্তব্য অনুসারে তামাক চাষ করলে অন্য কিছু করার সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রতিবছর অর্থ ও নানা প্রলোভনের কারণে চাষীরা তামাক চাষে নিয়োজিত হয়ে পড়ে।

গ্রামীণ কৃষক সমাজও দরিদ্রে এবং অনেক ক্ষেত্রেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই দরিদ্রকে পুঁজি করে তামাক চাষ ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করেছে। তামাকের মূল্য অন্য যে কোন ফসলের চাইতে অনেক বেশি। তামাক কোম্পানির এ ধরণের বাহারী বিজ্ঞাপনের আড়ালে হারিয়ে যায় তামাক চাষের সমস্যাগুলো। প্রত্যেক চাষীই প্রতিবছর তামাক কোম্পানি হতে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ করে, অথচ কোম্পানিগুলো প্রচারণা চালায় তামাক চাষ লাভজনক। তামাক যদি লাভজনক হয় তবে চাষী কেন প্রতিবছর ঋণ নেবেন? এই প্রশ্নটি কেউই করে না। অধিক মূল্য বিষয়টি কৃষকদের তামাক চাষে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। অনেক কৃষক তাদের ভাগ্য ফেরাতে, ধনী হবার আশায় কোন কিছু না ভেবেই তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। কারণ কৃষকদের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার পাশাপাশি, তারা প্রতিনিয়ত স্থানীয় মহাজনদের দ্বারা অর্থনৈতিকভাবে নিগৃহীত হতে হয়।

তামাক চাষে যে কৃষকের সামর্থ্য থাকে তারা শ্রমিক ভাড়া করে। কিন্তু অধিকাংশ চাষীর এ সামর্থ্য থাকে না। ফলে তামাক পাতা উঠানোর মৌসুমে বাড়ির নারী, পুরুষ শিশু সকলকে একসাথে মাঠে কাজ করতে হয়। এসময় শিশুরা স্কুল কামাই করে তাদের অভিভাবকদের সাথে মাঠে কাজ করে। এছাড়াও তামাক পাতা পোড়ানোর সময় আগুনের পাশে দিনরাত সর্তকভাবে বসে থাকতে হয়। ফলে তামাক চাষীদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এভাবে তাদের শিক্ষাজীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, তামাক চাষ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সময়কালে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলে বিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপস্থিতির হার কমে যায়। শিক্ষা জীবনে সমস্যার পাশাপাশি শিশুরা স্বাস্থ্যগত দিক থেকে

বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ভাব নিয়ে করব-ব্লগার বাহার উদ্দিন রায়হান


ভাব নিয়ে কি করব
ব্লগার বাহার উদ্দিন রায়হান। blog.bdnews24.com

অন্যদের কথা বলতে চায় না, আমাকে নিয়ে বলতেছি, আমাকে সবাই বলে রায়হান তুই সব সময় মোড নিয়ে থাকবি, কারো সাথে বেশি ফ্রি হবি না, নিজের দাম কমে যাবে,
আমি তাদের কথার উত্তর দিই না,
আমি গরিব ঘরের সন্তান, ঠিক মত খেতে পায় না, আমার মা ছাড়া কেউ নাই,
হয়তো কথা গুলো বললে অনেকে আমাকে পাত্তাই দেয় না, পাত্তা দিয়ে কি করব, বাচবই বা কয় দিন,
আমি মনে করি পাত্তা দিলোয়ে কি না দেলোয়ে কি। এত দূর যখন এসেছি আশা করি সামনে যেতে পারব।

আমাকে যারা প্রেরণা দিয়ে শক্তি দিয়েছেন শুধু আপনাদের জন্য বেচে আছি।
সবার কাছে দোয়া চায় আমার স্বপ্ন টা যেন পূরণ হয়।